মডার্ন ও পোস্টমডার্ন বিতর্ক : মলয় রায়চৌধুরী

মর্ডান ও পোস্টমর্ডান বিতর্ক : মলয় রায়চৌধুরী

পোস্ট মর্ডানিজম কাকে বলে, এ নিয়ে বিতর্ক বহুকালীন। হাংরি আন্দোলন থেকে উঠে আসা মলয় রায়চৌধুরী নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখেননি কোনো বিশেষ আন্দোলনের সঙ্গে। বিশেষ পরিধির বিস্তৃতি ছড়িয়ে তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং একই সঙ্গে ধ্বংসের মুখেও ছুটে চলেছেন। তাঁর পোস্টমডার্ন ভাবনায় সময়কে নয়, গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে পরিসরকে। ইউরোপের দার্শনিকরা মডার্ন ভাবকল্পটিকে সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্লেষণ করেছিলেন। তার প্রধান কারণ আব্রাহামিক চিন্তায় পরিসরের পরিবর্তে সময়কে প্রাধান্য দিয়ে বলা হয়েছে যে, তার একটি রেখা বরাবর এগিয়ে যাওয়াই দস্তুর। এই এগিয়ে থাকা আর পিছিয়ে পড়া দর্শনভাবনার কারণে ইউরোপের মনে হয়েছিল যে বহু দেশের সমাজ-সংস্কৃতি তাদের তুলনায় পিছিয়ে। 

প্রবাল দাশগুপ্ত তাই পোস্টমডার্ন শব্দটির বাংলা ‘উত্তরাধুনিক’ করেননি; উনি একটা নতুন শব্দ দিয়েছেন মলয়কে এবং তা হল ‘অধুনান্তিক’। মলয় রায়চৌধুরী পাশ্চাত্যের আধুনিকতাবাদের পৃষ্ঠপটে পোস্টমডার্ন ভাবকল্পটি আলোচনা করেননি। বরং তিনি সমাজ-সংস্কৃতিকে পরিসর রূপে গ্রহণ করেছেন এবং ইউরোপীয় ভাবকল্পের সঙ্গে তুলনা করেছেন। তিনি সাহিত্যের ক্ষেত্রে ভাবকল্পটি প্রয়োগ করে বলেছেন যে ইউরোপীয় ধারণার প্রেক্ষিতে ‘অধুনান্তিক’ হল প্যারাডাইম শিফট। আধুনিকতা যদি সাজানো বাগান হয়, তা হলে অধুনান্তিক নিঃসন্দেহে সাজানো বাগানের পরের স্টপ। প্রসঙ্গত, প্যারাডাইম শব্দটি কবিতার ক্ষেত্রে প্রথম প্রয়োগ করেছিলেন জীবনানন্দ দাশ। এই বই আধুনিক থেকে উত্তরাধুনিক হয়ে অধুনান্তিক হওয়ারই আখ্যান।


**********

মডার্ন ও পোস্টমডার্ন বিতর্ক

মলয় রায়চৌধুরী

প্রচ্ছদ শিল্পী : সুদীপ্ত দত্ত

প্রকাশনী: প্রতিভাস, কলকাতা।

কোন মন্তব্য নেই

মার্জিত মন্তব্য প্রত্যাশিত